হোম

কেন রক্তদান করবেন?

প্রথম এবং প্রধান কারণ, আপনার দানকৃত রক্ত একজন মানুষের জীবন বাঁচাবে। রক্তদানের জন্য এর থেকে বড় কারণ আর কি হতে পারে ! ২. হয়তো একদিন আপনার নিজের প্রয়োজনে/বিপদে অন্য কেউ এগিয়ে আসবে। ৩. নিয়মিত রক্তদানে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে বলে হৃদপিন্ড বিশেজ্ঞরা মনে করেন। ৪. স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে আপনি জানতে পারেন আপনার শরীর রক্তবাহিত মারাত্মক রোগ যেমন-হেপাটাইটিস-বি, এইডস, সিফিলিস ইত্যাদির জীবাণু বহন করছে কিনা। ৫. দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুন বেড়ে যায়। ৬. নিজের মাঝে একধরনের আত্মতৃপ্তি উপলব্ধি করতে পারবেন ।

রক্তদানের যোগ্যতাঃ

১৮-৫৭ বছরের সুস্থ ব্যাক্তি চার মাস অন্তর অন্তর রক্তদান করতে পারেন। * ওজন – ১০০ পাউন্ড বা ৪৭ কেজির উর্ধ্বে। * তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ( অনুচক্রিকা , রক্তরস ) ওজন ৫৫ কেজি বা তার উর্ধ্বে। রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলে। * রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ৭৫% বা তার উর্ধ্বে থাকলে। সম্প্রতি ( ৬-মাস ) কোন দূঘর্টনা বা বড় ধরনের অপারেশন না হলে। * রক্তবাহিত জটিল রোগ যেমন-ম্যালেরিয়া, সিফিলিস , গনোরিয়া, হেপাটাইটিস , এইডস, চর্মরোগ , হৃদরোগ , ডায়াবেটিস , টাইফয়েড এবং বাতজ্বর না থাকলে। * কোন বিশেষ ধরনের ঔষধ ব্যবহার না করলে। * চার মাসের মধ্যে যিনি কোথাও রক্ত দেননি। * মহিলাদের মধ্যে যারা গর্ভবতী নন এবং যাদের মাসিক চলছে না।

রক্তদানের সুবিধা:

প্রতি ৪ মাস অন্তর রক্ত দিলে দেহে নতুন BLOOD CELL সৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। - দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুন বেড়ে যায়। - নিয়মিত রক্তদানে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে বলে হৃদপিন্ড বিশেজ্ঞরা মনে করেন। - স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে আপনি জানতে পারেন আপনার শরীর রক্তবাহিত মারাত্মক রোগ যেমন-হেপাটাইটিস-বি, এইডস, সিফিলিস ইত্যাদির জীবাণু বহন করছে কিনা। - স্বেচ্ছায় রক্তদানে মানসিক প্রশান্তি আসে। - রক্তদানের মাধ্যমে একটি জীবন বাঁচানো পৃথিবীর সবোর্চ্চ সেবার অর্ন্তভুক্ত।

রক্তদান সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন

রক্ত দানের জন্য সর্বনিম্ন বয়স?

আপনি ইচ্ছে করলে ১৮ বছর বয়সের পর থেকেই রক্ত দান করতে পারেন।

এন্টিবায়টিক ওষুধ খাওয়া অবস্থায় রক্ত দান করা যাবে কি ?

না। এন্টিবায়োটিক খাবার অন্তত ৭ দিন পর, সম্পূর্ন সুস্থ হলে তারপর রক্ত দান করা যাবে।

রোগের ভ্যাকসিন নেবার পর রক্ত দান করা যাবে ?

না। ভ্যাকসিন নেবার অন্তত ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত রক্ত দান করা যাবে না।

ব্লাড প্রশারের রোগী রক্ত দান করতে পারবেন কি ?

হ্যা। যদি আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে আপনি রক্ত দান করতে পারেন।

রক্ত দানের ফলে আমার কি অঙ্গান হয়ে পড়তে পারি ?

খুব অল্প সংখ্যক মানুষ রক্ত দান করলে ঞ্জান হারাতে পারে। যেহেতু রক্ত নেবার কাজটি একজন ডাক্তার করে থাকেন সেহেতু অসুস্থ হয়ে পড়ার কোন ভয়ই নেই।

শিশুর জন্মের কতদিন পর মা রক্তদান করতে পারেন?

শিশুর জন্মের ১৫ মাস পর মা রক্তদান করতে পারেন।

শিশু বুকের দুধ খায় এ অবস্থায় রক্ত দান করা যাবে ?

না। যখন শিশু শুধুমাত্র বুকের দুধ পান করে তখন রক্ত দান করা যাবে না।

সর্দি লাগা অবস্থায় রক্ত দান করা যাবে ?

ঠান্ডা বা সর্দি লাগা অবস্থায় যেহেতু একটি জীবানু সন্ক্রামন থাকে সেহেতু রক্ত দান করা যাবে না।

রক্ত দানের পর আমার হাত ফুলে বা রক্ত জমাট বেধে বা ইনফেক্সন হতে পারে কি ?

হাতের যেখান থেকে রক্ত নেয়া হয়েছে সেখানে মাসাজ করবেন না। ফুলে যাওয়া , জমাট বাধা বা ইনফেক্সনের সম্ভবনা নেই বললেই চলে।

ডায়বেটিক রোগী রক্ত দান করতে পারেন ?

না। যে সমস্ত ডায়াবেটিক রোগী ইনসুলিন গ্রহন করেন তাদের রক্ত দান না করাই ভালো। তবে বিশেষ প্রয়োজনে তারা রক্ত দান করতে পারেন।

সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবক </font/

সদস্য
0
কার্যকরী সদস্য
0
কো-এডমিন
0
এডমিন
1